Saturday, April 21, 2018

কালকিনির মানুষ

5 minsMale
১৯৯৬ টার্মে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দেবার পরেও আমার সচিবালয়ের চাকুরীটি এবং মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম আসেনি এই লুটেরা আফম বাহাউদ্দিন নাসিমের কারনে। নাসিম আমাকে নেত্রীর সাথে কথা বলতে দেয়নি। নেত্রী আমাকে প্রশ্ন করলেন আপনার বয়স কত? আপনি কোথায় যুদ্ধ করেছিলেন? ১৯৯৬ সালে গোপালগঞ্জের কমান্ড কাউন্সিল ও মাদারীপুরের আমার কয়েকজন সহযোদ্ধাদের নিয়ে নেত্রীর সাথে দেখা করেছিলাম। এই আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম ছিল নেত্রীর এ পি এস। আমার কথা শেষ করতে দেয়নি এই বিশ্ব লুটেরা বাহাউদ্দিন নাসিম। আমার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বললঃ আপনি এখানে এসেছেন কেন? সৈয়দ আবুল হোসেনের নিকট যান? আমার হাতে বঙ্গবন্ধু ৪টি এলবামের ক্যাসেট দেখে বললেন-আপনি শিল্পী গান করেন-রেডিও টিভিতে যান, এখানে কেন এসেছেন?Image may contain: M Farid Hossain Howlader, closeup and outdoor
বন্ধুরা প্রশ্ন আপনাদের নিকটই আমি কেন শেখ হাসিনার নিকট গিয়েছিলাম? কারন আমরা বেহায়া বেশরম বেগারদ তাই?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেন-তুই চুপ কর! হ্যা আপনি বলেন- এর মধ্যেই আমার হাত থেকে কাগজগুলো বাহাউদ্দিন নাসিম নিয়ে গেল। বাস কিসস্যা ওখানেই শেষ। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মরহুম বজলুর রহমান, বজলু ভাই আমাকে ডেকে নিয়ে ১০ হাজার টাকার অনুদান ভিক্ষার কথা লিখতে শুরু করলেন। আমি রাগে ক্ষোভে দুখে হতাশায় চলে এসেছিলাম।
আরো অনেক বড় বড় বিশাল রহস্যজনক গল্পও শুনাবো শুনবেন । হ্যা ভাই আমার বাড়ী কালকিনি৩ আসনের বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের খাসের হাট। কাজেই বাহাউদ্দিন নাসিমের সাথেও নোমিনেশন পেলে দেখাতো হবেই- বক্তৃতাও হবে-গানও হবে- হয়তো সে গান হবে নাসিম বিরোধী গান। কারন খাসের হাট আমার। বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন আমার। প্রয়োজনে বাহাউদ্দিন নাসিমের বিরুদ্ধে স্বতন্দ্র নির্বাচনও করতে পারি। আমি শিল্পী আমার টাকা লাগবে না। কালকিনির মানুষ আমার আর নকুল কুমারের গানের পাগল। গান দিয়েই ১২ টা বাজাতে পারবো।

No comments:

Post a Comment