এক নিবেদিত ছাত্রলীগ কর্মীর আত্মকথাঃ
************************
"সুসময় অনেকেই বন্ধু বটে হয়; দুঃসময়ে হায় হায় কেহ কারো নয়"
কবি কেন এমন মর্মবেদনাহত জ্বালাময়ী কবিতা লিখেছিলেন, জানা নেই। হয়তো কবির জীবনেও এমন ঘটনা ঘটেছিল এবং অন্তরাত্মাকে দহন করেছিল প্রচন্ডভাবে তাই তিনি লিখেছিলেন এ অমর কবিতা।
সাইফুর রহমান সোহাগ-গরবিত পিতার গর্বিত সন্তান। মাদারীপুরের কৃতি ছাত্রলীগ কর্মী থেকে ছাত্রনেতা।
এ ছাত্রলীগ নেতা কারো দয়া দাক্ষিণ্যের ফসল নয়; এ মহান দায়িত্ব এমন কি জননেত্রী শেখ হাসিনা সোহাগকে করুনা দয়া মায়া মমতাবোধ বা স্বজনপ্রীতির দলিল হিসেবে প্রদান করেন নি। নিজের কর্ম স্পৃহা ন্যায় সত্য সততা নিষ্ঠা এবং কঠিন শ্রমের মর্যাদা হিসেবে কাউন্সিলের সিদ্ধান্তানুযায়ী বাংলাদেশের সুপ্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যময় গর্বিত মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগের প্রজন্মের তরুন মেধাবী ছেলে/মেয়েদের নিয়ে গঠিত ছাত্রলীগের কর্ণধার হতে পেরেছিল আজকের কথিত ভিত্তিহীন অহেতুক বানোয়াট মিথ্যা প্রপাগেশন/ দুর্নামের বোঝা চাপানো সময়ের সব চেয়ে সফল ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান।
আমি মাদারীপুরের ছেলে বলে বা সোহাগ অতি নিকটের বলে কোন চাটুকারিতা বা অহেতুক অঢেল প্রশংসা করে সোহাগের নিকট প্রিয় হবার কোন বাসনায় এ লেখাটি লিখছি না। সোহাগের সুসময়ের ফল যারা পেট ভরে খেয়েছে সে সকল ছাত্রলীগ নেতা কর্মী ছেলে মেয়েরা আজ সোহাগের বিরুদ্ধে কঠিন চক্রান্ত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কেউ কেন একটি প্রতিবাদ করেনি; সে বিষয়টি আমাকে গভীর ভাবে ভাবিয়ে তুলেছে; লিখতে চাইছিলাম না। কারন এখন সোহাগের পক্ষে কথা বলতে গেলেই আমার নিজস্ব একান্ত কিছু বন্ধু বান্ধব ফেসবুক ভক্ত বা ছাত্রলীগ নেতা কর্মী অনেক যুক্তি দেখাবেন। রাজাকার পুনর্বাসনের কাহিনী গল্প দিয়ে সোহাগের জীবনের সকল অবদানকে কলুষিত করবেন। তাই বলার সাহস পাচ্ছিলাম না।
কিন্তু সম্প্রতি বানোয়াট ভিত্তিহীন মিথ্যে তথ্য সম্বলিত একটি অজনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকায় সোহাগের সাথে তারেক রহমানের আর্থিক লেন দেন বা গোপন আঁতাত সংক্রান্ত ইস্যুটি আমাকে চুপ থাকতে দেয়নি। আমি স্পষ্ট ভাষায় কথা বলি এবং সে বলার কারনে অনেক নেতা সাংসদ মন্ত্রীই আমাকে দেখতে পারেন না; এ কথা আমার ফেসবুকের ফলোয়ারের সংখ্যা হ্রাস পাওয়া থেকে এবং আমার লেখা "লাইক" না করার অভিজ্ঞতা থেকেই সহজে অনুমান করতে পারছি।
কিন্তু আমি তো ঐ সেই পাগল মুক্তি। যা' সত্য তাই বলি, কেউ লাইক করে বা না করে তাতে আমার প্রতিদিনের বাজার এবং খাবার বন্ধ হয়ে যাবে না ইনশাহ আল্লাহ।
সোহাগ আমার দু'পয়সার উপকার করেনি কোন দিন। কারন আমি যাইনি । কিন্তু সোহাগের জন্য আজ আমার বড় কষ্ট হচ্ছে। বিগত বছরগুলোতে সোহাগ সভাপতি হবার পর থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সকল কাজগুলো বিগত বছরের থেকে অনেকটা সফল বলেই খোদ বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার দ্বারাও প্রচন্ডভাবে ভূয়সী প্রশংসা পেতে সক্ষম হয়েছে এই সোহাগ জাকির পরিষদ।
মফস্বল কমিটি/স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শাখা কমিটিতে কি ভাবে স্বাধীনতা বিরোধী জামাত শিবির বা বি এন পি'র ছেলে মেয়েরা ঢুকে পড়েছে; সেটা শুধু কি ছাত্রলীগ যুবলীগেই ঘটেছে? না এ ক্ষেত্রে জাতির গুরু দায়িত্বপ্রাপ্ত খোদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই জগা খিচুড়ি হয়েছে।
দেশে প্রবাসে সকল কমিটিগুলো আজ ন্যাপ জাসদ বাসদ কমিউনিস্ট জামাত বি এন পি ডানপন্থী বামপন্থী দিয়ে ভরিপুর এক তেতুলের টক ঝাল মিষ্টি জাতীয় হাই ব্রীড আওয়ামী লীগ হয়ে দাঁড়িয়েছে । ফলে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনা , আওয়ামী লীগ বিশেষ করে মহা সংকটের দিনে রাজপথের লড়াকু নিবেদিত কঠিন শিলায় পরিনত হওয়া তৃণমূল নেতা কর্মীরা আওয়ামী লীগ যুবলীগ সেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ থেকে খোভে দুখে অভিমানে দূরে বহু দূরে সিটকে পড়েছে। এর জন্য শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, সোহাগ জাকিরদের দোষ দিলেই কি দায়িত্ব শেষ হয়ে গেল বা সমাধান হয়ে গেল সকল জটিল দুর্নীতির অপবাদ?
জাকিরকে সোহাগ ব্যক্তিগত বন্ধু হিসেবে দলের সাধারন সম্পাদক করার কোন ক্ষমতা রাখে কী? কাউন্সিল ও দলীয় সিদ্ধান্তই একজন সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক তৈরী করে। এখানে জাকিরের অতীত নিয়ে আমিও লিখেছিলাম। কিন্তু সে জন্য সোহাগ কে কলংকিত করে কেন তার সততা নিষ্ঠা এবং ছাত্রলীগকে সুসংগঠিতভাবে ঐক্যবদ্ধ করে তোলার সকল প্রশংসা থেকে বঞ্ছিত করে ভিত্তিহীন মিথ্যা বানোয়াট গল্প কাহিনী দিয়ে কলুষিত করা হচ্ছে? আমার বোধগম্য হচ্ছে না।
"সব মাছেই বিষ্ঠা খায়, নাম পড়ে বোয়াল মাছের"
সোহাগ কোন হতদরিদ্র্য ঘরের ছেলে নয়। ছাত্রলীগ নেতা হবার অনেক আগে থেকেই যার পারিবারিক পরিচয় মাদারীপুরের সকল সম্ভ্রান্ত পরিবারগুলোর মধ্যে অন্যতম। সোহাগ ছ্যাড়া গেঞ্জি গায় দিয়ে ভাংগা স্যুটকেস মিডিয়াকে দেখিয়ে বলেনি যে আমি ফকিন্নি ছাওয়াল। সোহাগ মাদারীপুরের একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান, সোনার চামচ মূখে নিয়ে জন্মানো ধনি পরিবারের একজন সদস্য যার বাড়ীতে শিশুকাল থেকেই দুই/চারজন চাকর/চাকরানী দেখে বড় হওয়ার অভ্যাস, যার বড় ভাই সুইডেনে বসবাসরত একজন প্রবাস আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত এবং সোহাগের পরিবার ঠিক মাদারীপুরের আওয়ামী রাজনীতির কিংবদন্তি বঙ্গবন্ধুর সহকর্মী মরহুম এডভোকেট মৌলভী আচমত আলী খানের সম্ভ্রান্ত পরিবারের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।
সুতরাং বন্ধুগণ, আগে সঠিক তথ্য জেনে নিন এবং তদন্ত করুন তারপরে সোহাগ কে নিয়ে কঠোর সমালোচনা করুন। সোহাগের সারা জীবনের কঠিন কর্মের সফলতাকে এভাবে ধুলায় লুন্ঠিত করে ছাত্রলীগের ঐতিহ্যকে কলংকিত ও কলুষিত না করার জন্য সকলের নিকট একজন মুক্তিযোদ্ধা মুজিবসেনা হিসেবে সবিনয় নিবেদন করছি।
*******************************************
জেনে নিন ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের জীবনী
ছাত্রলীগ-সোহাগসাইফুর রহমান সোহাগ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের ২৮তম নির্বাচিত সভাপতি। তিনি ২৬ জুলাই ২০১৫ ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলনে ৩ হাজার ১৩৮ ভোটের মধ্যে ২ হাজার ৬৯০ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উর্বর ভূমি খ্যাত মাদারীপুরের একটি আওয়ামী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালনকারী ছাত্র সমাজের এ নেতা।
আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করার কারণে রাজনৈতিক গুণাবলি তার মধ্যে ছোট বেলা থেকেই লক্ষ্য করা গেছে বলে জানান তার ঘনিষ্ঠ সহচর মোহাম্মদ ইমরান খান। এইবেলা ডটকমের পাঠকদের বিপুল চাহিদার কথা মাথায় রেখে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের পূর্ণাঙ্গ জীবন বৃত্তান্ত নিচে দেওয়া হল।
জন্ম: ১৯৮৬ সালের ৩১ আগস্ট মাদারীপুর জেলার দক্ষিণ দুধখালি ইউনিয়নের আদর্শ শিক্ষক এইচ এম আবদুর রহমান (কর্মক্ষেত্র: চন্দ্রপুর এ এইচ পি উচ্চ বিদ্যালয়, চন্দ্রপুর, শরীয়তপুর।) ও সমাজ সেবী মর্জিনা খানম (পেশা: অবসরপ্রাপ্ত পরিবার কল্যাণ সহকারী, কর্মক্ষেত্র: মাহমুদপুর ইউনিয়ন, শরীয়তপুর।) ঘরে জন্ম নেন বর্তমান সময়ের লাখো ছাত্রের অভিভাবক সাইফুর রহমান সোহাগ। তিনি তিন ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয়।
সাইফুর রহমান সোহাগের পারিবারের রাজনৈতিক পরিচয়: সাইফুর রহামান সোহাগের বড় ভাই মাহবুবুর রহমান সোহেল সুইডেনের লিনিয়াস ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ করেছেন। তিনি সুইডেন সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক।
সাইফুর রহমান সোহাগের আরেক ভাই আরিফ হোসেন সুমন সুইডেন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তার নানা মরহুম আব্দুল গনি মাতবর ছিলেন শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি। বর্তমানে তার মামা আনোয়ার মাতবর ওই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি। সাইফুর রহমান সোহাগের চাচা ডা. রেজাউর আমিন মাদারীপুর জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক।
সোহাগের শিক্ষা জীবন: সাইফুর রহমান সোহাগ মাদারীপুর ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০০২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৩.৫০ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। তখন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে চতুর্থ বিষয়ে (অপসনাল) নম্বর যোগ হতো না। উল্লেখ্য, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী থাকাকালীন সময়ে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেন। এক কথায় বলতে গেলে এ বিদ্যালয়টি এখন বাংলার ইতিহাসে থাকা বিদ্যালয়গুলোর একটি।
মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোনোর পর সরকারী নাজিমুদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে মানবিক বিভাগে ভর্তি হন তিনি। ২০০৪ সালে ঢাকা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সাফল্যর সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। এ নাজিমুদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অধ্যয়নকালেই ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য ছিলেন সাইফুর রহমান সোহাগ।
উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রথম বছরেই তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং পরবর্তী বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাই নিজের মেধার স্বাক্ষর রাখেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষে ভাষা বিজ্ঞান স্নাতক সম্মানের শিক্ষার্থী। তিনি ভাষা বিজ্ঞান থেকে সাফল্যের সঙ্গে সম্মান শেষ করেন ২০০৯ সালে। ২০১০ সালে স্নাতকোত্তর শেষ করার পর পরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স করছেন। পাশাপাশি বিদেশী ভাষার প্রতি আগ্রহ থাকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে বিশ্ববিদ্যালয় জাপানিজ ভাষা কোর্সে অধ্যয়ন করছেন।
সাইফুর রহমান সোহাগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড:
১. ২০০২-২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াত দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে, মিছিল মিটিং-এ নাজিম উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী।
২. ১/১১(এক এগার-তে গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনের সময় বিক্ষোভ মিছিলে এবং মানববন্ধন ও কালো পতাকা প্রদর্শন এবং বিভিন্ন ঘরোয়া আলোচনায় একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে অংশগ্রহণ।
৩. সাবেক সক্রিয় কর্মী সরকারী নাজিম উদ্দিন কলেজ ছাত্রলীগ এবং ১/১১ তে দেশরত্ম শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালনের স্বীকৃতি স্বরূপ সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে জিয়া হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করা।
৪. জিয়া হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে সাধারণ ছাত্রদের দাবি আদায়ে সক্রিয় থেকে সফলভাবে জিয়া হল ছাত্রলীগকে সংগঠিত করা।
৫. প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত গণশিক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে দুটি স্কুল (পথশিশুদের জন্য) সফলতার সাথে পরিচালনা করা। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর উপর বিভিন্ন হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ ছাত্রদের নিয়ে পাঠচক্র পরিচালনা করা ।
৬. পরিবেশ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে সারা বাংলাদেশের ৫০ এর অধিক জেলা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম সফলভাবে সম্পাদন ও পরিবেশ বিষয়ক বিভিন্ন সভা ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করা।
৭. জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলনের সকল কর্মসূচিতে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করা।
৮. জামাত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে ও হেফাজতের নৃশংসতার বিরুদ্ধে সর্বদা সক্রিয় অংশ গ্রহণ করা।
৯. ৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালের নির্বাচনের পূর্ব ও পরে বিএনপি-জামায়াতের অপকর্মের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ ঘোষিত সকল কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে চলমান গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনের অগ্রসৈনিক হিসেবে অংশগ্রহণ করা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকেবুকে ধারণ করে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হিসেবে আমি সর্বদা প্রস্তুত থাকা।
১০. সর্বশেষ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৮ তম জাতীয় সম্মেলনে নির্বাচনের মাধ্যমে বিপুল ভোটে সভাপতির দায়িত্ব পালন (চলমান)।
ছাত্রলীগ সভাপতি হওয়ার আগে দায়িত্বপ্রাপ্ত পদ:
সাইফুর রহমান সোহাগ ছাত্রলীগ সভাপতি হওয়ার আগে সংগঠনের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। একই সঙ্গে বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা ছিলেন। বিএনপি-জামাত শাসনামলে ছাত্রলীগের দুঃসময়ের কর্মী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করে ২০০৯ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়া হলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্য: সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের জন্য উদ্দেশ্য থাকা জরুরি। সেক্ষেত্রে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগেরও কিছু উদ্দেশ্য রয়েছে।
সাইফুর রহমান সোহাগের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিম্ন রুপ:
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গঠনে ছাত্র সমাজকে শিক্ষা শান্তি প্রগতির পতাকাতলে এনে গণতন্ত্রের মানসকন্যা বিশ্বশান্তির অগ্রদূত বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা। দেশ ও জাতির অর্থনৈতিক ও গণতন্ত্রের মুক্তি, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা, অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে জননেত্রী দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা।
No comments:
Post a Comment